মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি, কালের খবর৷ :
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঘাটারচরে টোটাইল মোজায় একটি সরকারি খাল ভরাট করে হাউজিং করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এই খাল ভরাটের অভিযোগ উঠছে। খালের উপরে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণের সাত মাস পরেই এই খালটি ভরাট করা হয়েছে। গতবছরের জুন মাসের ৭ তারিখে ব্রিজটি উদ্বোধন করেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শাহীন আহমেদ। ভরাটকৃত খালটির জমির পরিমাণ প্রায় ৩ শ’ শতাংশ । এই জমির আনুমানিক বর্তমান মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এলাকাবাসীদের কাছ থেকে জানা যায়, তারানগর ইউনিয়নের ঘাটারচরে টোটাল মৌজায় একমাত্র শতবর্ষের পুরাতন খাল হচ্ছে এটি। এই খাল দিয়ে নৌকাযোগে এক সময় ঘাটারচর, জয়নগর, কলমারচর, আটিসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন বুড়িগঙ্গা হয়ে রাজধানীর বছিলা ও মোহাম্মদপুর এলাকায় যাতায়াত করতো। গতবছরের জুন মাসে খালের উপর ঘাটারচর ও সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের লুটেরচরের মানুষের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে এই ব্রিজটি নির্মিত হয়।
ব্রিজ নির্মাণের আগেই খালটি পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু ব্রিজ নির্মাণের সাত মাস যেতে না যেতেই হাউজিং ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট এই খালটি ভরাট করে তাদের ক্রয়কৃত জমির সঙ্গে একত্রিত করে প্লট আকারে বিক্রি করছে। খালের পানি গ্রামবাসী কৃষিকাজে ব্যবহার করতো। খালটি ভরাট করে ফেলায় একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে অপরদিকে সরকারের ৩০ কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে। ঘাটারচরের খালের পাড়ের বাসিন্দা মো. রতন মিয়া জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ এই খালের পানি জমিতে সেচের কাজে এবং গৃহস্থালির নানা কাজেও ব্যবহার করতাম। এব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা কোনো খাল ভরাট করিনি। আমরা আমাদের বাপ-দাদার পৈতৃক রেকর্ডিং সম্পত্তি ভরাট করে প্লট করেছি। তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক বলেন, ব্রিজ নির্মাণের আগেই খালটি পুনঃখনন করা হয়। কিন্তু একটি চক্র রাতের আঁধারে খালটি বালি ফেলে ভরাট করে ফেলে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য খালটি রক্ষা করা দরকার। কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহে এলিদ মাইনুল আমিন বলেন, সরকারি খাল কেউ ভরাট করতে পারবে না। কেউ যদি তা করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।